মিথুন রাশি (Gemini): রাশিচক্রের তৃতীয় রাশি হল মিথুন রাশি।মিথুন রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?মিথুন রাশির বিবাহিত জীবন? মিথুন রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত এই বিষয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন করে থাকেন মিথুন রাশির জাতকরা, তাই এই post এ মিথুন রাশির জাতকদের বিবাহ নিযে বিস্তারিত দেওয়া হল যে, মিথুন রাশির জাতকরা কখন বিয়ে করবেন এবং মেষ রাশির বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং কোন সময় বিয়ে করলে আপনার দাম্পত্য জীবন কেমন হবে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক মিথুন রাশির ব্যাক্তির চরিত্র সম্পর্কে কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
জন্মমাস: যে সকল ব্যক্তিদের জন্ম ইংরেজি ২১ শে মে থেকে ২০ শে জুন অথবা বাংলার ৮ ই জ্যৈষ্ঠ থেকে ৭ ই আষাঢ়ের মধ্যে, তারাই এই রাশির অন্তর্গত হন। এইভাবে জন্ম মাসের ভিত্তিতে সহজেই আপনার রাশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সম্পর্কে আগে থাকতেই আপনি জানতে পারবেন। এমনকি সেই সকল সমস্যার প্রতিকারের উপায়ও জেনে নিতে পারবেন আপনি।
মিথুন রাশির বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-
শুভ রং | সবুজ |
শুভ দিন | বুধবার |
শুভ সংখ্যা | ৭৭ |
শুভ দিক | উত্তর পূর্ব দিক |
শুভ সঙ্গী বা সঙ্গিনী | কুম্ভ, তুলা ও সিংহ রাশি |
শুভ রত্ন | পান্না |
চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: এই রাশির ব্যক্তিদের আচরণে দ্বৈত সত্ত্বার প্রকাশ পাওয়া যায়। অর্থাৎ এরা মুখে একরকম আর মনে একরকম রাখেন। অনেক সময় দুই জায়গায় দুই ব্যক্তির সঙ্গে দুরকম আচরণ করতেও দেখা যায়। এরা এদের এই স্বভাবের কারণে মিষ্টিভাষীও হয়ে থাকেন। যার ফলে মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে যাওয়ার ক্ষমতা থাকে এদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এরা বুদ্ধি দিয়ে সব কাজ করেন। যদি কোন বিষয় নিয়ে এই রাশির জাতক জাতিকারা রেগে যায়, তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই তাঁদের সেই রাগ গলে জল হয়ে যায়। খানিকটা ভাল্লুকের জ্বরের মত, এই আছে, আবার এই নেই। হৃদয় স্নেহ মমতা ও ভালোবাসায় ভরা থাকলেও, কিছুটা অস্থির প্রকৃতির স্বভাব হয় এদের।বুধগ্রহের জাতক হলেন এই বৃষ রাশি। সাধারণত এই রাশির ব্যক্তিদের চরিত্র রহস্যপূর্ণ হয়ে থাকে। প্রথম দেখায়ত তাঁদের চরিত্র সম্পর্কে ধারোন করা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে। কিছুদিন মেশার পর বুঝতে পারার যায়, তাঁদের চালচলন, হাবভাবভ আচরণ সমস্ত কিছু। নাহলে নতুন কোন ব্যক্তি এই রাশির ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে বিপদে পড়তে পারেন। তবে কিন্তু এই রাশির জাতক জাতিকারা সকলকে সমান ভাবে ভালোবাসেন। নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসীও হয়ে থাকেন এরা। নিজের চেনা পরিবেশ হোক, কিংবা নতুন পরিবেশ, সব জায়গায় সহজেই নিজের সুন্দর মনোভাব দিয়ে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে পরিবেশকে মাতিয়ে রাখার ক্ষমতা ধরেন।
স্বাস্থ্য: সব কাজেই একটা বুদ্ধিদীপ্ত ছাপ থাকে এদের। সেই বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করেই, সব কাজ অল্প সময়ের মধ্যে বেশি পরিশ্রম না করেই করার চেষ্টা করেন। তবে কোন কারণে বেশি কাজ করে ফেললে, শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রাশির ব্যক্তিদের শারীরিক সমস্যা খুব একটা দেখা না গেলেও, কিছু ব্যক্তিরা বাত, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা ও স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এদের জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হল বেশি করে ঘুম। বেশি করে ঘুমানোর ফলে সমস্ত রোগের মুক্তি ঘটে। মন শান্ত থাকে এবং মাথাও ফ্রেস হয়ে যায়।
মিথুন রাশির বিবাহিত জীবন : এই রাশির জাতক জাতিকাদের মধ্যে একটা প্রেমিক সুলভ মনোভাব সর্বদা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু প্রেমের প্রতি আগ্রহ থাকলেও, অস্থিরতা ও বৈচিত্র্যপ্রিয়তার কারণে সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কারণ, সেই ভালোবাসার মানুষের সামনে এই রাশির ব্যক্তিদের দ্বৈত মানসিকতার প্রকাশ ঘটে গেলে, তাঁরা এদের জোবন থেকে চলে যায়, যার ফলে আবারও একা, অন্ধকারে ফিরে যায় এই রাশির জাতক জাতিকারা। সর্বদা শান্তিপূর্ণ, বৈচিত্র্যময়, আনন্দঘন জীবনের কাঙ্খী হন এরা। সেই কারণে সংসারে আত্মীয়র আগমনে অর্থ ব্যয় হলেও, পরিবারের সকলের চাহিদার খামতি রাখেন না।
কর্ম জীবন: নিজেদের দ্বৈত সত্ত্বার কারণেবুদ্ধিমত্তার কাজ খুবই পছন্দ এই রাশির জাতক জাতিকাদের। আনন্দের পরিবেশে, অনেক মানুষের মাঝখানে কাজ করতে ভালোবাসে এরা। বিশেষত বেশি মানুষের সঙ্গে যুক্ত পেশা যেমন- সাংবাদিকতা, দালালি, আইনী বিষয়ক কাজ, সেলসম্যান, সেক্রেটারি ও ব্যবসা কিংবা সার্জন, দাঁতের ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার- এইসকল পেশা এদের খুবই পছন্দের। যে পেশায় বেশি অস্থিরতা রয়েছে, তা খুবই পছন্দের হয় এই রাশির ব্যক্তিদের।
আর্থিক অবস্থা: বেশি মানুষের মধ্যে থাকতে পছন্দ কতায়, সর্বদা এই রাশির ব্যক্তিদের বাড়িতে অতিথিদের আগমন লেগেই থাকে। সর্বদা বাড়িতে আত্মীয় স্বজন ঘোরাফেরা করায় আর্থিক দিক থেকে দুর্বল থাকায় সঞ্চয় করতে অসমর্থ হন এরা। কাজের মাধ্যমে মাঝে মাঝে অনেক অর্থের আগমনে হলেও, সঞ্চয়ে মন দিতে পারেন না। মানুষকে খুশি রাখতে এবং নিজের কাছে আটকে রাখতে অনেক অর্থ ব্যয় করেন এরা।
প্রতিকার: জীবনে সাফল্যের জন্য মনকে শান্ত রাখ প্রয়োজন, একাগ্রতার প্রয়োজন হয়। তবে ধৈর্য ও একাগ্রতার কিছুটা অভাব দেখা দেবে। সবকিছুকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে হলে নিজেদের দ্বৈত মনোভাবের পরিবর্তন করে, সকলের জন্য সমান মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সকলকে সমান চোখে, সমান ভাবে দেখে, সমানভাবে মিশতে হবে। তবেই বেশি বেশি করে মানুষের ভালোবাসা পাবেন।