ঘূর্ণিঝড় পরিণত হলো নিম্নচাপে, তীব্র বৃষ্টির সম্ভাবনা! ভিজতে চলেছে কয়েকটি জেলা !

একটা সময় ছিল যখন ঘূর্ণিঝড় অথবা নিম্নচাপ বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় আসতো বর্ষাকালে, কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং পরিবেশ দূষণের ফলে বর্তমানে বৃষ্টি এবং নিম্নচাপের আর কোন সময় নেই। আর সেই কারণে সারা বছরেই বিভিন্ন নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের বুকে আছড়ে পড়ে। আর তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে আরো একটি ঘূর্ণিঝড় আসার কথা ছিল যদিও সেটি ভীষণ দুর্বল ছিল যার নাম ঘূর্ণিঝড় মানদাউস। তবে সেই ঘূর্ণিঝড় এবার শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্ত রূপে পরিণত হয়েছে।

সেই ঘূর্ণাবর্ত এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটির অবস্থান কর্নাটক ও কেরল উপকূলে আরব সাগরে। এটি ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। ক্রমশ এটি ভারতের উপকূল থেকে দূরে সরে যাবে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হবে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, মাহে, রায়লসীমা এবং অন্ধপ্রদেশের কিছু অংশে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। নিম্নচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হওয়া বইবে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগ পর্যন্ত।

```

এর জেরে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। এটিও নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী বুধ -বৃহস্পতিবার নাগাদ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সিস্টেমটি ক্রমশ শ্রীলঙ্কা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে।আরও একটু বৃদ্ধি পেল রাতের তাপমাত্রা। সকালে সামান্য কুয়াশা পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার ওপরেই থাকবে। সপ্তাহের শেষের দিকে নামতে পারে পারদ। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

কলকাতায় আজ পরিষ্কার আকাশ। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা ও শিশির । আগামী ২৪ ঘণ্টা একই রকম থাকবে আবহাওয়া। তারপর থেকে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা।স্বাভাবিকের ওপরই কলকাতার পারদ। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের দুই ডিগ্রি উপরে। গতকাল এই তাপমাত্রা ছিল ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি উপরে । বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৪১ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

```

একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে পূর্ব দিকে গেলে সিকিম ও সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সমান সম্ভাবনা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সরে যেতেই উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা কমবে। হবে হাওয়া বদল।ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা আগামী দুদিনের জন্য হিমাচল প্রদেশে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরাতে আগামী কয়েক দিন হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা সম্ভাবনা। শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে উত্তরাখন্ডে আগামী ৪৮ ঘণ্টায়।