সকাল ১০ টা নাগাদ গ্রামের মানুষ যখন নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত, তখনই আচমকা বিকট শব্দে চমকে যায় গোয়ালতোড়। বাইরে বেরলে দেখা যায় আকাশে চক্কর কাটছে একটি বিমান। জঙ্গলের ভিতর থেকে শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। কীসের আওয়াজ বুঝে উঠতে না পেরে অনেকেই শব্দের উৎস খুঁজতে ছুটে যান জঙ্গলের ভিতর। গিয়ে দেখেন, মাটিতে পড়ে রয়েছে এক বড়সড় ধাতব অংশ। সেটি যে কোনও বিমান বা কপ্টারের অংশ, তা মোটামুটি বুঝে যান গ্রামবাসীরা। কিন্তু কিভাবে আর কোথা থেকেই বা এলো সেটি?
তবে কী কারণে এভাবে ভেঙে পড়ল, তা বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পড়লে কতটা ক্ষতি হতে পারত, তা ভেবে শিউরে ওঠেন অনেকেই।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় ব্লকের ধামচা স্কুলের পিছনের জঙ্গলে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে সোমবার দুপুরে। তবে এলাকার মানুষের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যেহেতু বিমানের অংশটি জঙ্গলের মধ্যে পড়েছে তাই ক্ষয়ক্ষতি থেকে তাঁরা রেহাই পেয়ে গিয়েছেন বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। ওই যন্ত্রাংশ দেখতে এদিন এলাকার মানুষ জড় হন ওই এলাকায়।
ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।পরে পুলিশ সুপার জানান, এটি আসলে মিগ ২৯ বিমানের অতিরিক্ত অয়েল ট্যাঙ্কার। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থেকে বিমানটি উড়ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ। তবে কীভাবে এটি আচমকা নীচে পড়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, বারবার দুর্ঘটনার কারণে সম্প্রতি মিগ ২১ বিমান সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজস্থানে মিগ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। একটি বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। সঙ্গে সঙ্গে দুই মহিলার মৃত্যু হয় সেখানে। পরে মৃত্যু হয় আরও একজনের। এরই মধ্যে সেই মিগ নিয়েই আতঙ্ক ছড়াল গোয়ালতোড়ে।পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সোমবার এবিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, মিগ ২৯ থেকে পড়েছে ওই জ্বালানি ট্যাঙ্কটি। প্রশিক্ষণ চলার পর কলাইকুন্ডা বায়ু সেনাঘাঁটিতে ফিরছিল ওই যুদ্ধবিমানটি।
সব মিলিয়ে এই ঘটনা ঘটনার ফলে এলাকার মানুষ যে এই নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন আবার অনেকে এর সম্পর্কে আরো জটিল ভাবে এবং গভীরভাবে জানতে চাইছেন, সব মিলিয়ে এলাকার পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনা পূর্ণ।।