গরীব বাবা দিনমজুরি করে মানুষ করে ছেলেকে!স্বপ্ন পূরণ করে ছেলে যা করে দেখালেন,স্যালুট নেটিজেনের

কোন গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করা কোন খারাপ কাজ নয় কিন্তু যেভাবে জন্মেছেন জীবনটা সেই ভাবেই যদি কাটিয়ে দেন তাহলে আপনি জীবনের সাথে অবিচার করেছেন। আর জীবনে অগ্রগতির একটাই রাস্তা একাগ্রতা আর কঠোর পরিশ্রম। সাফল্য পেতে এর কোনও বিকল্প নেই। সাফল্যের শীর্ষস্তরে পৌঁছতে নেই কোনও শর্টকার্ট। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মুখেই নানা সময়ে উঠে এসেছে এই কথা। প্রতিযোগিতা যেখানে চরম, সেখানে সফল হতে যে পরিশ্রমের চূড়ান্ত জায়গায় পৌঁছতে হবে তা আর নতুন কী ! আর আজকে এমন একজনের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরব যে জীবনে অনেক লড়াই করেছে এবং নিজের প্রাপ্যটুকু জিতে নিয়েছে।

IAS Success Story:

দিনমজুর বাবার IAS সন্তান। তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। তিনবার সিভিল সার্ভিসের গণ্ডি পেরিয়েছেন, অথচ নিতে হয়নি কোনও ‘ফর্মাল কোচিং’। ২০২০ সালে সারা ভারতে UPSC সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় ১৩৯ নম্বরে স্থান হয়েছে তাঁর। ছোট থেকেই পরিবারে ছিল না আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য। অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেই চলেছে জীবনযুদ্ধ।

```

পরিবার চালাতে দিনমজুরের কাজ করতেন বাবা। কখনও কাজ না থাকলে চায়ের দোকানই হত অন্ন জোগানের সম্বল। বাবার সঙ্গে সেই সময় চায়ের দোকানে হাত লাগিয়েছেন ছোট্ট ছেলে। দিন বদলেছে, কাজে এসেছে খুদে ছেলের অনড় মানসিকতা। উত্তরাখণ্ডের সেই ছোট ছেলেই এখন দিনমজুর বাবার IAS সন্তান- নাম হিমাংশু গুপ্তা।

Success Story Of IAS Himanshu Gupta:

কেমন ছিল ছেলেবেলা ?উত্তরাখণ্ডের উধম সিং জেলার সিতারাগঞ্জে জন্ম হিমাংশুর। ছেলেবেলার ১৬টা বছর কেটেছে উত্তরাখণ্ডে। হিমাংশু জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই IAS হওয়ার কোনও চিন্তা ছিল না তাঁর মনে। তবে ক্লাস ১২ পাশ করার পরই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার দিকে ঝোঁক বাড়ে তাঁর। ছোট থেকেই আর্থিক অনটন ছিল পরিবারের নিত্যসঙ্গী। খাবার জোগাতে নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে কাজ করতেন তাঁর বাবা। সেই কারণে ছোট হিংমাংশুর সঙ্গে প্রায় দেখাই হত না বাবার।

```