আমরা প্রায় সবাই কয়লার (Charcoal)দ্বারা তৈরি ছাই এবং কয়লার দ্বারা উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়টি নিজের চোখে দেখেছি বা এর বিষয় শুনেছি। কিন্তু আপনি কি কখনো শুনেছেন যে ছাই দিয়ে কয়লা তৈরি হয় কিংবা বিদ্যুৎ তৈরি হয়? কি অবাক হলেন তো ? আপনিও নিশ্চই ভাবছেন যে ছাই দিয়ে কিভাবে কয়লা ও বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব?
তবে জানিয়ে দি যে রামেশ্বর কুশওয়াহা (Rameshwar kushwaha)এই কাজটিকে বাস্তবে করে দেখিয়েছে। অবিশ্বাস্য এই কাজটি করে বিহারের এই যুবক বিদেশি গবেষকদেরও হুঁশ উড়িয়ে দিয়েছে। বিহারের রামেশ্বর কুশওয়াহা (Rameshwar kushwaha)পশ্চিম চম্পারন জেলার কুন্দিলপুর পঞ্চায়েতের মাঞ্জারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার গবেষণা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। ছাই থেকে তৈরি এই কয়লার পেটেন্ট সরকার করেছে।
ছাই দ্বারা তৈরি হলো কয়লা
জানিয়ে দি যে রামেশ্বর কুশওয়াহা তার পঞ্চায়েত কুন্দিলপুরের প্যাক্স প্রেসিডেন্ট ছিলেন একসময়। রামেশ্বরের এই মহান কাজের কারণে পশ্চিম চম্পারণ জেলায় তৈরি কাঠকয়লা ইটগুলি দিয়ে লোকেদের বাড়িতে কম খরচে খাওয়ার তৈরি হবে। এছাড়া এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ ও ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে সহায়তা করবে।
রামেশ্বর দীর্ঘদিন ধরে এটি তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছিলেন। ২০১২ সালে তিনি প্রথম এই কাজ শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছর সংগ্রামের পর এই সাফল্য পেয়েছেন তিনি। বিশেষ বিষয় হল সরকার রামেশ্বরকে সবরকম সহযোগিতা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। যদিও সরকারের দেওয়া প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন রামেশ্বর।
বিদেশেও হচ্ছে রামেশ্বরকে নিয়ে আলোচনা
রামেশ্বর জানিয়েছেন যে ধানের খড়, শুকনো আখের পাতা ও খড় মিশিয়ে কাঠকয়লা ইট তৈরি করা হয়েছে। এটি খুব কম খরচে প্রস্তুত করা যায়। আর এটিকে পোড়ালে দূষণও হয় না। এমনকি কোনো ধরনের গন্ধও নেই এটিতে। কয়লা (Charcoal) ব্যবহারের পর তা থেকে নির্গত ছাই কৃষকরা তাদের জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। রামেশ্বরের সংগ্রাম ও নিষ্ঠা দেখে ভারত সরকারের পশুপালন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং উগান্ডার সরকারি কর্মকর্তা ও গবেষকরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং তাঁকে উৎসাহ দেন।