রাজ্যে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। কোথাও কোথাও বজ্রপাতের আশঙ্কা। মরশুমের প্রথম জোড়া কালবৈশাখী হয়েছে কলকাতায় বৃহস্পতিবার। শুক্রবারেও কলকাতায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা। পশ্চিম থেকে পূর্ব নিম্নচাপ অক্ষরেখা। দক্ষিণ-পশ্চিম রাজস্থান ও কচ্ছ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত এই নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান। অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গিয়েছে। তার জেরে অক্ষরেখার প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।
এই সিস্টেমের প্রভাবে সোমবার পর্যন্ত রাজ্য জুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি। দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার ২১ মার্চ থেকে আবহাওয়ার বদল হতে পারে। আজ উত্তরবঙ্গের মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক জায়গায় শিলাবৃষ্টি হতে পারে, সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি এবং সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।
শনিবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে। রবিবার রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে দমকা ঝড় হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গের মালদহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার এই পাঁচ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, এ বছর উষ্ণতম ফেব্রুয়ারির সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মার্চের শুরু থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করেছিল গরম। তাপমাত্রা ক্রমশই চড়ছিল। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছিল। ফলে চৈত্রের প্রথমেই এই কালবৈশাখী ঝড় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল রাজ্যবাসীকে।