সামান্য কাঠমিস্ত্রির গরীব কন্যা যা করে দেখালেন, স্যালুট জানালেন খোদ সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী !

দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৬০০-তে ৬০০! রাজ্যে প্রথম হয়ে নজির গড়লেন এস নন্দিনী। তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম নন্দিনী ছ’টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০-তে ১০০ করে পেয়েছেন। নন্দিনী তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুলের বাসিন্দা। বাবা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। তার মধ্যেও সংগ্রাম করে ‘সেরার সেরা’ হয়ে উঠেছেন নন্দিনী। তাঁর এই সাফল্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সমাজের সব স্তরের মানুষ। অভিনন্দন জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনও।

সোমবার তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন দেখে উৎফুল্ল নন্দিনী জানিয়েছেন, তিনি বড় হয়ে অডিটর হতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ৬০০-তে ৬০০ পেয়ে খুব খুশি। শিক্ষক এবং বাবা-মাকে আমি আমার সাফল্য উৎসর্গ করতে চাই। যদি আত্মবিশ্বাস থাকে, তা হলে যে কোনও অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।’’চেন্নাইয়ের বাসিন্দা এন গায়ত্রীর মা ফলের দোকানে কাজ করেন। বাবা বেসরকারি গ্রন্থাগারের কর্মী। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৯২। দু’টি বিষয়ে ১০০-তে ১০০ এবং বাকি চারটি বিষয়ে ৯৯ করে পেয়েছেন তিনি।

```

ফল ঘোষণার পর গায়িত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষাই একমাত্র মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে। শিক্ষাই হল অন্যদের বোঝার একমাত্র উপায়।’’ পুলিশ অফিসার হতে চান চেন্নাইয়ের আর এক কন্যা মনীষা। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৪৯৯। পিতৃহারা মনীষার মা ঝাড়ুদারের কাজ করেন। মনীষার কথায়, ‘‘আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। এখন পরিস্থিতি খারাপ হলেও আগামী দিনে তা বদলে যাবে।

আমাদের শিক্ষা এবং প্রতিভা দিয়ে এই পরিবর্তন আনা সম্ভব।’’তামিলনাড়ুর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় এ বার মেয়েদের জয়জয়কার। মার্চ-এপ্রিল মাসে হওয়া দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় মোট ৮,০৩,৩৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। পাশ করেছেন ৭,৫৫,৪৫১ জন। যার মধ্যে ছাত্রীদের পাশের হার ৯৬.৩৮ শতাংশ এবং ছেলেদের পাসের হার ৯১.৪৫ শতাংশ।

```

সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরা স্যালুট জানিয়েছেন এই গরীব মহিলাকে।