লরিতে যাচ্ছিল তরমুজ!পুলিশ আটকাতেই তরমুজের ভিতর যা উদ্ধার হলো,চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!

গরমের মরশুমে ফলের বাজারে গেলেই বেশ কিছু ফল দেখা যায়, আর সবথেকে বেশি দেখতে পাওয়া যাবে তরমুজের। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে তরমুজ মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। তবে সেই তরমুজ সব এলাকাতে চাষ হয় না, তাই ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্য এলাকায় তরমুজ পাঠানো হয়, লরি করে। কিন্তু এই তরমুজের সরবরাহের আড়ালে যদি কেউ অন্য কিছু করে তাহলে তা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে, আর সেরকমই ঘটনা ঘটেছে। যা দেখে অবাক হয়েছে পুলিশও।

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি ট্রাকে করে অনেক তরমুজ যাচ্ছিল বিহারে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদে পাতেন তদন্তকারীরা। ট্রাকটিকে প্রথমে তারা যা হোক করে থামান, আর লরিটিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন তাঁরা। প্রথমে ট্রাকটি থামানোর পরে তাঁরা দেখতে পান, গাড়িটিতে শুধু তরমুজই ছিল। কিন্তু তরমুজ সরাতেই যেন চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তদন্তকারীরা। তরমুজ সরাতেই বেরিয়ে আসে দেদার বোতল। কি ছিল ওই বোতলে?

```

ওই তরমুজ সরাতেই ভিতর থেকে অসংখ্য মদ ভর্তি বোতল উদ্ধার হয়। আর এই তরমুজের আড়ালেই মদ চোরাচালানের অভিযোগ উঠছে। তা-ও আবার বিহারে। যেখানে মদ সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। উত্তরপ্রদেশের কানপুর পুলিশ এবং এসটিএফ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে তরমুজ বোঝাই একটি ট্রাক থেকে বিপুল পরিমাণ মদ বাজেয়াপ্ত করে এবং সেই সঙ্গে আটক করে অভিযুক্ত চোরাকারবারিদেরও।সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার আওতায় সেখানে মদ কেনা-বেচা উভয়ই নিষিদ্ধ।

ফলে এহেন রাজ্যে মদ চোরাচালানের জন্য অভিনব এবং অনন্য উপায় খুঁজে বেড়ায় মদের চোরাকারবারি এবং মাফিয়ারা।তদন্তকারীরা দুই মদ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন। সেই সঙ্গে ওই ট্রাক থেকে প্রায় ২৫০ পেটি মদ বাজেয়াপ্ত করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা। আর অন্য জন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা।কানপুরের এডিসিপি (পশ্চিম) লখন সিং যাদব বলেছেন যে, উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর সঙ্গে মিলে অভিযান চালিয়ে কানপুর পুলিশ বাক্স বাক্স অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করেছে। ট্রাকটির চালক ও অন্য এক জনকে আটক করা হয়েছে।

```

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, ওই বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আর তরমুজের মধ্যে লুকিয়েই সেই মদ নিয়ে যাচ্ছিল মদ পাচারকারীরা। এই প্রসঙ্গে আরও অনেক তথ্য এবং চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত চক্রের হদিশ পাওয়ার জন্য ধৃতদের আরও জেরা করা হচ্ছে। শিগগিরই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করবে পুলিশ।