ইউটিউবার থেকে ধনকুবের!৪০০ কোটির মালিক,তার গরীব থেকে ধনী হবার লড়াই জানলে অবাক হবেন!

টাকা রোজগারে নয়া দিশা দেখিয়েছে ইউটিউব। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র নন। টাকার মুখ দেখতে দেশের এই প্রজন্মের অনেক তরুণ-তরুণীই ইউটিউবার হওয়ার দিকে ঝুঁকেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সফল হয়েছেন। এই সফল ইউটিউবারদের মধ্যে অন্যতম গৌরব চৌধরি।দেশের মধ্যে জনপ্রিয় ইউটিউবারদের মধ্যে এক জন গৌরব। ‘টেকনিক্যাল গুরুজি’ নামেই বেশি পরিচিত তিনি।রাজস্থানের অজমেঢ়ের বাসিন্দা হলেও গৌরবের বর্তমান ঠিকানা দুবাই। সেখানেই থাকেন তিনি।গৌরবের ২টি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। একটির নাম টেকনিক্যাল গুরুজি। অপরটির নাম গৌরব চৌধরি। কিন্তু তার এই লড়াই সহজ ছিল না।

২টি ইউটিউব চ্যানেল মিলিয়ে গৌরবের মোট ফলোয়ারের সংখ্যা ২.৭ কোটি।ইউটিউবের দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় টেক চ্যানেল হল ‘টেকনিক্যাল গুরুজি’। ইউটিউবার হিসাবে সাফল্য পাওয়ার পরই গৌরবের জীবন আরও গৌরবান্বিত হয়েছে।১৯৯১ সালে রাজস্থানের অজমেঢ়ে জন্ম গৌরবের। মাত্র ৩২ বছর বয়সেই কোটি কোটি টাকার মালিক এই যুবক। তবে শুধু যে ইউটিউবের দৌলতে এই লক্ষ্মীলাভ হয়েছে, তা কিন্তু নয়। দুবাইয়ে গৌরবের ব্যবসা রয়েছে। ফলে সেখান থেকেও টাকা রোজগার করেন তিনি।দুবাইয়ের বিআইটিএস পিলানি থেকে মাইক্রো ইলেকট্রনিক্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন গৌরব।

```

তিনি ইউটিউবারের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়রও।দুবাই পুলিশকে নিরাপত্তার নানা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন গৌরব। দুবাই পুলিশের সিকিউরিটি সিস্টেমের ইঞ্জিনিয়র পদে রয়েছেন তিনি।শুধু দুবাই পুলিশ নয়। দুবাইয়ের বিভিন্ন সংস্থাকেও নিরাপত্তার নানা সরঞ্জাম সরবরাহ করেন গৌরব।দুবাইয়ে গিয়েই গৌরবের আর্থিক বহর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গিয়েছে, দুবাইয়ে যে বাড়িতে থাকেন গৌরব, তার দাম প্রায় ৬০ কোটি টাকা। গাড়ির শখ রয়েছে গৌরবের। তাঁর ১১টি গাড়ি রয়েছে। সব গাড়িগুলিই দামি।বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ়, পোর্শে, রেঞ্জ রোভার, রোলস রয়েসের মতো নামী সংস্থার গাড়ি রয়েছে গৌরবের সংগ্রহে।

এই গাড়িগুলির কোনওটির দাম কয়েক কোটি টাকা। আবার কোনওটির দাম কয়েক লাখ টাকা।বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরবের মাসিক আয় প্রায় ১ কোটি টাকা।গৌরবের মোট সম্পত্তির পরিমাণও প্রচুর। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৬৯ কোটি টাকা।২০১৫ সালে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন গৌরব। তার পর এর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি গৌরবকে।

```

এক দিকে, ইউটিউব থেকে আয় যেমন করেন তিনি, তেমনই দুবাই পুলিশের সঙ্গে কাজও করেন। আবার তাঁর পারিবারিক ব্যবসাও রয়েছে। মুদিখানার ব্যবসা থেকেও মোটা টাকা কামান গৌরব। আর এই ভাবেই কয়েকশো কোটির মালিক তিনি।