৪ বছর নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ত্যাগ, চন্দ্রযান ৩ কে সফল করতে নেপথ্যে থাকা বিজ্ঞানীদের চিনুন!

ইতিহাস গড়েছে ইসরো, হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ইন্টারস্টেলার এর থেকেও কম খরচে চাঁদে যাওয়ার মত একটা ঐতিহাসিক কাজ করে দেখিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ রিসার্চ সংস্থা। কিন্তু এর পিছনে রয়েছে অসংখ্য মানুষের দিনরাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম। তার মধ্যে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব যাদের যায় তারা হলেন সেই সমস্ত বিজ্ঞানীরা যারা দায়িত্ব সহকারে এই মিশন টি সম্পন্ন করেছেন। গত চার বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন ISRO-র একাধিক বিশেষজ্ঞ। প্রায় এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং গবেষকরা দিন-রাত কাজ করেছেন যাতে ভারত চাঁদ ছুঁতে পারে। একাধিক মানুষের মেধা, পরিশ্রম মেশানো রয়েছে চন্দ্রযান ৩ মিশনে। কিন্তু, যাঁরা এই মিশনের একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে ‘কাপ্তানি’ করেছেন তাঁদের চেনেন?

চন্দ্রযান ৩-কে বহন করে মহাকাশে নিয়ে গিয়েছে এলভিএম রকেট বা ‘বাহুবলী রকেট’। এই রকেটটি ডিজাইন করেছেন ISRO প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই এই মিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের আগে তা যাতে একেবারে ঠিকঠাক থাকে সেই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এস সোমনাথের উপর। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এস সোমনাথ যে শুধু একজন দক্ষ বিজ্ঞানী তাই নন, তিনি একটি সংস্কৃত ছবি ‘ইয়ানাম’-এও অভিনয় করেছেন। এই গবেষক ঝরঝরে সংস্কৃত বলতে পারেন। শুধু তাই নয়, তাঁর নামের অর্থ ‘চাঁদের প্রভু’।

```

বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার-এর ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণন নাইয়ার…তিনি রকেট সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম স্তম্ভ। তিনি একজন দক্ষ অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রাক্তনী তিনি। গগনযান মিশনের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর উপর।ভিরামুথুভেল পি, চন্দ্রযান ৩-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর…গত চার বছর ধরে এই প্রকল্পকে নিজের সবটুকু দিয়েছেন ভিরামুথুভেল পি। চেন্নাই থেকে তিনি টেকনলজিতে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

২০১৯ সালে ল্যান্ডার বিক্রমকে তিনি অনেকটা কাজ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর সেই জ্ঞান চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য অনেকটাই কার্যকর হতে চলেছে।…করোনা পরিস্থিতিতে যখন টালমাটাল গোটা দেশ, সেই সময় এই প্রকল্পে কাজ করে গিয়েছেন এই গবেষক। তিনি ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নিজের জীবন সমর্পণ করেছেন। চন্দ্রযান ৩ মিশনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন কল্পনা।

```
  • চন্দ্রযান ২ মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন এম ভনিথা। তিনি দেশের প্রথম মহিলা গবেষক যিনি চন্দ্রমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর চন্দ্রযান ২ মিশন নিয়ে জ্ঞান চন্দ্রযান ৩ মিশনকেও অনেকাংশে সাহায্য করেছে।

এম শংকরণ, উই আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টরঅফুরান অভিজ্ঞতার কারণে এম শংকরণকে ‘ISRO-র পাওয়ার হাউস’ বলা হয়। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করছেন।