গাড়িতে করে যাচ্ছিল জল!পুলিশ সন্দেহের বসে তল্লাশি চালাতেই ফাঁস হলো চাঞ্চল্যকর রহস্য!

সময়ের অগ্রগতির সাথে যেমন শক্তিশালী হয়েছে পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলির ক্ষমতা একইভাবে চুরি এবং বিভিন্ন ধরনের পাচারকারীদের বুদ্ধিও পুলিশকে টেক্কা দেওয়ার জন্য অনেক রকমের ফন্দি আঁটছে। ঠিক সেই ধরণেরই একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে একদল দুষ্কৃতি পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এক বিশাল প্ল্যান করেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, ধরা পড়ে গেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, বনদপ্তরের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল জলের বোতল ভরতি একটি গাড়িতে কিছু পাচারের চেষ্টা হবে। সেই মোতাবেক নাগরাকাটা লাগোয়া ১৭ নম্বর (৩১ সি) জাতীয় সড়কের টোলপ্লাজার সামনে রবিবার রাতে, আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিলেন রেঞ্জারের নেতৃত্বে ডায়না বিটের বিট অফিসার স্বপন সাহা-সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। সন্দেহজনক গাড়িটি কাছে আসতেই বনকর্মীদের দেখে পালানোর চেষ্টা করে। পালটা ধাওয়া শুরু হয় বনকর্মীরাও। বেগতিক দেখে কিছুটা দূরেই রাস্তার ধারে গাড়িটিকে রেখে চালক চম্পট দেন।

```

গাড়ির উপরে সার দিয়ে রাখা ছিল জলের বোতল। সেগুলি সরাতেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বনকর্মীদের। জলের বোতলগুলির নিচে একটি ত্রিপল বিছিয়ে সেগুন কাঠের লগ নিপুণ কায়দায় সাজিয়ে রাখা। পরে কাঠ-সহ জলের গাড়িকে বন দপ্তরের ডায়না রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়। গাড়ি-সহ সমস্ত অবৈধ কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়। কাঠগুলি কোন জঙ্গলের তা জানার চেষ্টা করছে বনদপ্তর। গাড়িটির গতিমুখ জাতীয় সড়ক থেকে বানারহাটের দিকে ছিল। তবে কোথায় কাঠগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেটাও তদন্ত করে দেখছে বনদপ্তর।

এবার চোরা কারবারিরা সেগুন কাঠ পাচারের জন্য ঢাল হিসেবে বেছে নিয়েছিল জল! তাতে অবশ্য শেষরক্ষা হল কই? গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ‘মিনারেল ওয়াটার’ বোঝাই গাড়িকে ধাওয়া করে নিচে লুকিয়ে রাখা সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করল বনদপ্তরের ডায়না রেঞ্জ।বাজেয়াপ্ত হওয়া কাঠের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

```

এপ্রসঙ্গে রেঞ্জার অশেষ পাল বলেন, “আমাদের চোখকে ধুলো দেওয়ার জন্যই এমন ফন্দি। এতে লাভ নেই। বনকর্মীরা সজাগ রয়েছেন। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গাড়িটি কার সে ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। অবৈধ কাঠ বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।”