১২স্ত্রীকে রোজ গর্ভনিরোধক খাইয়েও ১০২ সন্তান, ৫৬৮ নাতি-নাতনি,শেষে জানলেন ছোট্ট ভুলে ঘটেছে কান্ড!

কেন পর পর বিয়ে করেছেন? একমুখে হেসে সপাটে তিনি বলেন, কোন পুরুষ আবার এক নারীতে সন্তুষ্ট? সন্তানের জন্মও দিয়েছেন অক্লেশে। তবে এই ২০২২ সালের শেষে পৌঁছে মুদ্রাস্ফীতির জেরে কন্ট্রাসেপটিভের কথা ভাবলেন তিনি! ভাববেন না-ই বা কেন? ১২ জন স্ত্রী, ১০২ জন ছেলেমেয়ে আর ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি তাঁর। ৬৭ বছর বয়সে এসে পরিবার পরিকল্পনার পথে হাঁটলেন তিনি।

স্ত্রীদের মধ্যে যাঁরা এখনও সন্তানপ্রসব করতে পারেন, তাঁদের তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে। শুধু তাই নয়, তিনি আর তাঁর ছেলেমেয়ের খরচ বহন করতে পারছেন না। উগান্ডার বুগিসা প্রদেশের এই ব্যক্তির নাম মুসা হাসাহা। তিনি বলেছেন– আমার আর তেমন সম্পদ নেই। আমি আর সন্তান চাই না। এজন্য আমি আমার স্ত্রীদের পরিবার পরিকল্পনার পরামর্শ দিয়েছি।উগান্ডার বুগিসা প্রদেশে এক বড় বাড়িতে থাকেন মুসা ও তাঁর বিপুল পরিবার।

```

১২ জন স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা বেডরুমের ব্যবস্থা রয়েছে বাড়িতে। মুসার দাবি, ১০২ জন ছেলে-মেয়ে এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনির প্রত্যেককে তিনি আলাদা আলাদা করে চিনতে পারেন ঠিকই, কিন্তু তাদের নাম মনে রাখতে পারেন না। নিজে ১২ জন স্ত্রীকে বিবাহ করলেও, বর্তমানে মুসার উপলব্ধি চারটির বেশি বিয়ে করা ঠিক নয়। কারণ? কারণ হিসেবে তিনি জানান– ‘পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয়’।

১৯৭১ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মুসার প্রথম বিয়ে। দুবছর পর জন্ম নিয়েছিল তাঁদের প্রথম কন্যা। তারপর থেকে মুসার পরিবার সংখ্যায় শুধুই বেড়েছে। বউ বেড়েছে, ছেলেমেয়েও বেড়েছে। তিনিই গ্রামের প্রধান। একজন সফল ব্যবসায়ীও। অর্থের অভাব ঘটেনি। মুসা জানিয়েছেন– তিনি ভালোই রোজগার করতেন বলে পরিবার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

```

তবে তিনি পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, এতগুলি বিয়ে করলেও তাঁর সব স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে যাতে সমান সুযোগসুবিধা পায়, সেটা তিনি সবসময় খেয়াল করেছেন। কিন্তু আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কী ভাবে এতগুলি বিয়ে করলেন মুসা? উগান্ডায় বহুবিবাহে কোনও বাধা নেই।