বুধবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। চাঁদের পিঠে সদর্পে পা রাখবে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য কামনায় আপামর দেশবাসী। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য কামনায় মুখ খুলছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার।এখন শুধুমাত্র সবেথেকে ‘জটিল কৌশল’-টি পার করার অপেক্ষা। এই পর্যায়টি সফল ভাবে উতরে যেতে পারলেই কেল্লাফতে। চাঁদের দক্ষিণ মেরু পৃষ্ঠে সফল অবতরণ করে ইতিহাস রচনা করবে ভারত।
আর মাত্র ১ দিনের অপেক্ষা। তারপরই চাঁদের বুকে চন্দ্রযান-৩-এর হাতেখড়ি। ২৩ অগাস্ট ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ বীরদর্পে চাঁদের বুকে পা রাখবে। নায়ার বলেন, “খুব জটিল” পর্যায়টি অপেক্ষা করছে চন্দ্রযান-৩-এর জন্য। সাফল্যের জন্য প্রতিটি সিস্টেম নিখুঁত ভাবে কাজ করা জরুরি।২০০৮ সালে চন্দ্রযান-১ মিশনের সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নায়ার। সেই সময় তিনি ছিলেন ইসরোর শীর্ষ পদে। পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “চাঁদের পৃষ্ঠে সফল অবতরণ ভারতের নতুন ভোরের সূচনা করবে। মহাকাশ গবেষণায় আরও পরিধি বাড়বে ভারতের।” দ্বিতীয় ডিবুস্টিং অপারেশটি সম্পন্ন করে চাঁদের পৃষ্ঠের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর এই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান।
চূড়ান্ত কৌশল সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নায়ার বলেন, চন্দ্রযান-২-এর ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে অধরা রয়ে গিয়েছিল স্বপ্ন। এক চুল এদিক ওদিক হওয়ায় ব্যর্থ হয় চন্দ্রযান-২ মিশন। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে থাকাকালীন ল্যান্ডারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় ইসরোর।”শেষ মুহূর্তে প্রত্যেকটি কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে। থ্রাস্টার, সেন্সর, অল্টিমিটার, কম্পিউটার সফটওয়্যারগুলিকে একসঙ্গে সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে। কোনও জায়গায় কোনও প্রকার ভুল হলেই সমস্যা ভোগ করতে হতে পারে আমাদের।” বলেছেন নায়ার।তবে ল্যান্ডারের সফল অবতরণ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী প্রাক্তন ইসরো প্রধান।
তাঁর কথায়, “আমাদের খুবই সতর্ক ভাবে সমগ্র বিষয়টির উপর দৃষ্টি রাখতে হবে। যদিও আমি জানি, ইসরো আগেরবারের ব্যর্থতার থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের মিশনের প্রচুর পরিবর্তন এনেছে। প্রতিটি বিষয়ের উপর নিখুঁত ভাবে নজর রাখছে। প্রার্থনা করি মিশন যেন সফল হয়।”
ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, রোভার ‘প্রজ্ঞান’ সমন্বিত ল্যান্ডার মডিউলটি বুধবার ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের পৃষ্ঠ ছুঁয়ে ফেলবে। ৫টা ২০ মিনিট থেকে শুরু হবে লাইভ স্ট্রিমিং। নায়ার আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে পাওয়া তথ্যে বিরল খনিজের সন্ধান মিলতে পারে।