চরম সাফল্য: চাঁদের মাটিতে নয়া রহস্যের খোঁজ চন্দ্রযানের, বড়ো ঘোষণা করলো ইসরো !

চাঁদের একদম দক্ষিণ প্রান্তে অবতরণ করেছিল ভারতের চন্দ্রযানের তৃতীয় মহাকাশযান। ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর সাফল্য সেদিন টের পেয়েছিল সারা বিশ্বের মহাকাশপ্রেমী মানুষেরা। ইতিমধ্যেই অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ইসরোর অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে চাঁদের মাটিতে অবস্থান করা ভারতের চন্দ্রযান। সাময়িকভাবে চন্দ্রযানকে পৃথিবীর সময় অনুযায়ী ১৪ দিনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল কারণ চাঁদের মাটিতে পৃথিবীর সময় অনুযায়ী 14 দিন পর দিন এবং ১৪ দিন পর রাত হয়। রাত হবার সাথে সাথেই নেমে আসে অন্ধকার এবং বিকল হয়ে পড়ে চন্দ্রযানের যন্ত্রাংশ, তার জন্য আগে থেকেই স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চন্দ্রযানকে। তবে এবার ফাঁস হল নতুন রহস্য।

ভারতের চন্দ্রযান কি তার শীতঘুম থেকে জাগবে কিনা সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন বিজ্ঞানী মহলে, তবে এবার নতুন রহস্যের খোঁজ দিল চন্দ্রযান। চাঁদের মাটি নিয়ে শুরু হয় গবেষণা, এবং কিছু সময় অধ্যয়ন করার পরে গবেষকেরা জানান, চাঁদের মাটি দিয়ে জ্বালানিও তৈরি হতে পারে। হ্যাঁ এরকমই একটি অদ্ভুত ব্যাপার সামনে এসেছে যে চাঁদের মাটি থেকেও নাকি জ্বালানি তৈরি হতে পারে তবে সেটা কেন এবং কিভাবে তার উত্তর দিয়েছে বিজ্ঞানীরা।

```

কীভাবে মাটি দিয়ে জ্বালানি তৈরি হতে পারে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের মাটিতে আয়রন এবং টাইটানিয়াম প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই উপাদানগুলি সূর্যের আলো পেলে অনুঘটকের কাজ করবে। যা থেকে তৈরি হবে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড। কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ায় তৈরি হবে মিথেন। আর এই মিথেন নামে হাইড্রোকার্বন জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হতেই পারে। এভাবে চাঁদের মাটি দিয়ে জ্বালানি তৈরি হতেই পারে। যা জ্বালানি সমস্যা অনেকটাই মেটাতে পারে।

অবশ্যই চাঁদ থেকে মাটি এনে জ্বালানি সমস্যা মেটানোর কথা এখন ভাবছেন না বিজ্ঞানীরা। তবে চাঁদের মাটি দিয়ে যে জ্বালানি তৈরি সম্ভব এ বিষয়টি এক নতুন দিক খুলে দিয়েছে।এখন যত দিন যাচ্ছে মানুষের মহাকাশে আনাগোনা বাড়ছে। এমনকি মানুষ এখন চাঁদে বসতি তৈরির কথাও ভাবনাচিন্তার মধ্যে রেখেছে। সেক্ষেত্রে জ্বালানির প্রয়োজন এভাবে সহজেই মিটতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

```

সব মিলিয়ে সারা বিশ্বের সামনে ভারতের বুদ্ধি মেধা এবং পরিশ্রমের যেভাবে জয় সরকার হয়েছে তা রীতিমতো প্রশংসার যোগ্য। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে ইসরোর বিজ্ঞানীরা সারা বিশ্বের সামনে ভারতের বুদ্ধিমত্তা কে প্রমাণ করেছে।