অভিশপ্ত মমির পিরামিডে তাল তাল সোনা? গুপ্তধনের সন্ধানে গবেষকরা

মিশরের রাজধানী কায়েরোর কাছে মিলল এক রহস্যময় পিরামিডের হদিশ। ওই পিরামিডের মধ্যে মিলেছে সোনার মুখোশ। গবেষকদের দাবি, ফ্যারাও টেটির সময়কার পিরামিড এটি। এখানে সমাধিস্থ করা হয়েছে কোনও রানিকে। এই পিরামিডের মধ্যে মিলতে পারে গুপ্তধনের সন্ধানও। বর্তমানে তারই খোঁজ চালাচ্ছেন গবেষকরা। ইতিমধ্যেই ওই পিরামিডের মধ্যে প্রায় ৩০০ মমির অস্বস্তি মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

রহস্যময় রানির পিরামিড! সেখানে ঢুকতেই চক্ষু-চড়ক গাছ! মেঝেতে অবহেলায় পড়ে আছে সোনার মুখোশ! এই পিরামিডের গুপ্তকক্ষেই লুকিয়ে আছে তাল তাল সোনা? খোঁজাখুঁজি করলেই বেরিয়ে পড়বে কুবেরের ভাণ্ডার? সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকদের একটি দল। তবে শুধু দাবি করেই ক্ষান্ত থাকেননি তাঁরা। রহস্যময় পিরামিডের ভিতরে লাগাতার সোনার খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গবেষকদের দাবি, এই পিরামিডের রহস্যের পুরোপুরি সমাধান হলে প্রাচীন মিশরের ইতিহাসটাই বদলে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। জানা যেতে পারে ফ্যারাও তুতেনখামেনের জীবনের বেশ কিছু অজানা অধ্যায়। প্রসঙ্গত, রাজধানী কায়েরোর দক্ষিণ দিকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার দূরে হদিশ মিলেছে তুতেনখামেনের যুগের এক পিরামিডের। সেখানেই প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ চালাচ্ছেন মিশরের ওই গবেষক দল।

```

গবেষক দলের দাবি, এই পিরামিড সম্ভবত মিশরীয় রাজা টেটির। মিশরের ষষ্ঠ রাজবংশের ফ্যারাও ছিলেন তিনি। প্রত্নতাত্ত্বিক দলের নেতৃত্বে থাকা জাহি হাওয়াসের দাবি, “তৎকালীন মিশরে টেটিকে দেবতা হিসেবে পুজো করা হোত। সেই কারণে তাঁর পিরামিডে সোনা মেলার সম্ভাবনা অনেক বেশি।” যে পিরামিডটি অবিষ্কার করা গিয়েছে, সেটিতে ফ্যারাওয়ের সভাসদ ও সেনাপতিদের মমিও রয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। এছাড়া আছে একটি রহস্যময় দরজা। তার সামনেই মিলেছে সোনার মুখোশ। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, ওই দরজার ওপারে রয়েছে রানির মমি। আর ওই ঘরেই মিলতে পারে অপার ঐশ্বর্য।

প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস আরও জানিয়েছেন, “সাধারণত এই ধরনের পিরামিডগুলিতে সারফোফ্লেগাসগুলি (মমি রাখার কফিন) একই ধরনের হয়। এখানেই সেটা একেবারে অন্য ধরনের দেখা গিয়েছে। মজার বিষয় হল, এই পিরামিডে বেশ কিছু শিশু-সহ মোট ৩০০টি মমিও মিলেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে সেগুলি কার সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তাঁরা। পিরামিডের মধ্যে গুপ্ত সুড়ঙ্গ পথ আছে বলেও জানিয়েছে গবেষকরা। “বর্তমানে সেই সুড়ঙ্গে ঢোকার চেষ্টা হচ্ছে। এটা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের কাজ।” সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস।

```

কয়েকদিন আগেই মিশরের আলেকজান্দ্রায় একটি মন্দিরের মধ্যে সুড়ঙ্গ আবিষ্কার করেন গবেষকরা। মন্দিরের মেঝে থেকে ৪৩ ফুট গভীরে মিলেছে ওই সুড়ঙ্গের হদিশ। গবেষক দলের দাবি, সুড়ঙ্গটি সাড়ে ৪ হাজার ফুটেরও বেশি লম্বা। এর উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে যেতে ওপারে যেতে পারলেই মিলবে মিশরের শেষ রানি ক্লিওপেট্রা ও তাঁর প্রেমিক মার্ক অ্যান্টোনিও-র সমাধি সন্ধান। সুড়ঙ্গ আবিষ্কারের পর দাবি করেছিল সান ডেমিংগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক দল।