পশ্চিমবঙ্গের এই জায়গায় মিলল রহস্যময় এক গুহা, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন বিজ্ঞানীরা!

বাঁকুড়া জেলার খাতড়ায় আট কিলোমিটার দূরে পোড়া পাহাড়ের (Bankura Pora Pahar) মাঝমাঝি উচ্চতায় এক গুহার সন্ধান মিলেছে। গুহাটির উচ্চতা ৬ ফুট। সুড়ঙ্গের ওই অংশ চলে গিয়েছে পাহাড়ের ভিন্ন প্রান্তে। গুহাটির ভেতরে মোট সাতটি কুঠুরির সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় গবেষকের মতে, এইসব কুঠুরিগুলিতেই এক সময় আদি মানবের বসবাস ছিল। পর্যটন প্রেমীদের জন্যেও আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য হবে বলে মত স্থানীয়দের। তবে এই চাঞ্চল্যকর গুহার কুঠুরি গুলির মধ্যে এমন কি রয়েছে? অতীতের বেশকিছু রহস্যময় তথ্য ফাঁস করে এই গুহা। গুহার ভিতরে ঢুকলেই…

ভেতরটা ঢুকলেই শিউরে উঠতে পারেন। যত ভেতরে ঢোকা যায়, তত ঘিরে ধরবে নিকষ কালো অন্ধকার আর এক ঝাঁক রোমাঞ্চ। গা ছমছমে গুহা (Cave) দর্শনে মেঘালয়, মহারাষ্ট্র বা মধ্যপ্রদেশের জুড়ি মেলা ভার। তবে এবার উইকেন্ড ট্রিপে মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur) গেলেই হতে পারে গুহা অভিযানের অভিজ্ঞতা। বাঁকুড়া জেলার খাতড়ায় মিলেছে এক রহস্যময় গুহার হদিশ। খাতড়ার পোড়া পাহাড়ে ওই গুহার দৈর্ঘ্য এবং আকার দেখে চমকে গিয়েছেন স্থানীয় গবেষকরাও। তাঁদের মতে, ওই গুহায় এক সময় ছিল আদিম মানুষের বাসস্থান। গুহার সন্ধান পেয়েছেন মধুসূদন মাহাতো নামে স্থানীয় এক লোকগবেষক।

```

খাতড়া থেকে আট কিলোমিটার দূরে পোড়া পাহাড়ের (Bankura Pora Pahar) মাঝমাঝি উচ্চতায় এই গুহার সন্ধান মিলেছে। গুহার মুখ পাহাড়ের উত্তর দিকে। গুহার উচ্চতা ৬ ফুট। ভেতরে জায়গা বিশেষে উচ্চতা কমবেশি। চওড়ায় প্রায় ৪ থেকে ৫ ফুট। কিছু দূর গিয়ে গুহা ভাগ হয়ে গিয়েছে দুই দিকে। ডান দিকে সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট। তার পর সুড়ঙ্গের ওই অংশ চলে গিয়েছে পাহাড়ের ভিন্ন প্রান্তে। সে দিকেও একটি মুখ রয়েছে গুহাটির। গুহাটির ভেতরে মোট সাতটি কুঠুরির সন্ধানও পাওয়া গিয়েছে। যা লম্বা এবং চওড়ায় যথাক্রমে ২০ ফুট ও ৭ ফুট। স্থানীয় গবেষকের মতে, এইসব কুঠুরিগুলিতেই এক সময় আদি মানবের বসবাস ছিল।

গবেষকরা জানিয়েছেন, পাথর কেটে কেটে তৈরি করা হয় ওই গুহা। তার মধ্যে ওই কুঠুরি দেখে মধুসূদন মাহাতোর ধারণা, আদিম মানুষ সেখানে বসবাস করতো। ওই কুঠুরিগুলিতে আলাদা আলাদা পরিবার বসবাস করত বলেও জানিয়েছেন তিনি। মধুসূদনের কথায়, ”ওই সুড়ঙ্গ সংরক্ষণ করা উচিত। এর সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। এই সুড়ঙ্গ গুহাবাসী আদিম মানুষের তৈরি করা হতে পারে।” স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বহু কাল ধরেই ওই গুহার খোঁজ জানতেন। তবে সংরক্ষণের পাশাপাশি এলাকাটি পর্যটন প্রেমীদের জন্যেও আকর্ষণীয় দ্রষ্টব্য হবে বলে মত স্থানীয়দের।

```

মুকুটমণিপুরের অবস্থান খাতড়া ব্লকের গোড়াবাড়ি পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের আরও সম্ভাবনাময় আকর্ষণীয় জায়গা আমডিহা, দামোদরপুর, ঝরিয়াকোচা এবং রক্তজড়িয়া মৌজা সংলগ্ন পোড়া পাহাড়। মুকুটমণিপুর থেকে সোজা পথে পোড়া পাহাড় মেরেকেটে চার কি পাঁচ কিলোমিটার। ঘুরপথেও ছয় কিলোমিটারের বেশি নয়। সেই পোড়া পাহাড়েই মিলেছে এই গুহার সন্ধান। স্থানীয়দের মতে, এটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হলে মুকুটমণিপুরে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা এখানে পাহাড়ে চড়া ও গুহা দেখার বাড়তি আনন্দ পাবেন।