নাম করা ইঞ্জিনিয়াররাও ফেল এই মিস্ত্রির কাছে, ইঁট ছাড়াই বানিয়ে দেন আস্ত পাকা বাড়ি

পুঁথিগত বিদ্যাই যে সাফল্য অর্জনের একমাত্র উপায় তা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই পথেই আবার‌ও একজন সফল হয়ে দেখিয়ে দিলেন।তিনি গণপত শর্মা। ভাগলপুরের ঘোঘার পান্নুচাক এলাকার দিলদার পুরের বাসিন্দা গনপত একজন কাঠমিস্ত্রি। শুনলে অবাক হবেনতিনি নিজে একা একটি গোটা বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন কারোর সাহায্য ছাড়াই।

আর‌ও অবাক করা বিষয় হল, বাড়ি তৈরিতে কোনো ইট ব্যবহার করেননি তিনি।কি অবাক লাগছে তো? আমরা জানি বাড়ি তৈরি করতে গেলে ইটবালি সিমেন্টসুড়কির প্রয়োজন হয়। তাহলে গনপত কি এমন উপায় অবলম্বন করলেন যাতে তার বাড়িতে ইট লাগল‌ই না? উত্তরটা হল কাঠ। যেহেতু গনপত একজন কাঠমিস্ত্রি তাই কাঠের কাজ করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। এই কারণে সম্পূর্ণ বাড়িটাকেই তিনি নিজের হাতে কাঠ দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন।

```

গোটা বাড়িটা বানাতে তার সময় লেগেছে ১৮ মাস।বাড়ির দেওয়াল হচ্ছে ৫ ইঞ্চি পুরু। বাড়িটির ছাদ‌ও ঢালাই করা এবং দুটি ঘর আর একটা বারান্দা রয়েছে এতে। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি কাঠের বাড়ি। রং করে একেবারে পরিপাটি করে রেখেছেন গনপত। ইটের ব্যবহার না করায় এমনিতেই বাড়ির খরচ ৩০-৩৫% কমে গিয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে গনপত জানায়, ইটের জন্য পর্যাপ্ত টাকা ছিল না তাঁর ট্যাঁকে।

আটকে ছিল ঘর তৈরির কাজ। বুদ্ধি করে তখন এই পন্থা অবলম্বন করলেন গনপত।স্যোশাল মিডিয়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে এই বাড়ির ভিডিও। কাঠের বাড়ি তেমন হাতিঘোড়া কিছু জিনিস নয়। পাহড়ে গেলেই লাখ লাখ বাড়ির দেখা মিলবে কাঠের। তবে বিহারের স্থলভূমির জনবসতির মাঝে একটা কাঠের বাড়ি দাঁড়িয়ে থাকা সত্যিই অন্যরকম। এই বাড়ি তৈরিতে কারোর সাহায্য নেননি গনপত।

```

ফলতঃ দেখতে গেলে একদিক থেকে সে যেমন মিস্ত্রী অন্যদিকে আর্কিটেক্ট‌ও বটে। দূর দূরান্ত থেকে লোকেরা আসছে বাড়িটি দেখতে। কেউ কেউ বাড়ি তৈরির টেকনিক শিখে নিচ্ছে আবার কেউ তো গনপতকে বরাত‌ই দিয়ে দিচ্ছে বাড়ি তৈরির। সবমিলিয়ে এখন বেশ চর্চায় রয়েছে গনপতের বাড়িটি।