হাতে লেখা ঠিক যেন কম্পিউটার টাইপিং! বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী এই কিশোরী !

হাতের লেখার উপর ব্যক্তিত্ব নির্ভর করে, এমন কথা বলে সাইকোলজি। হাতের লেখার টান দেখে বোঝা যায় কে কতটা সৃজনশীল,কিংবা হস্তাক্ষরের বিচ্ছিন্নতা প্রমাণ করে কার মনে কি চলছে! ছোটো থেকে হাতের লেখার জন্য অনেক কথা শুনতে হত আমাদের।ধরে নেওয়া হত, যার হাতের লেখা বেশী সুন্দর সে নম্বর‌ও বেশী পায়। কিন্তু ভাবুন তো, যদি আপনার হাতের লেখাই হত পৃথিবীশ্রেষ্ঠ? তবে? কত কত নম্বর থাকত আপনার ঝুলিতে?

ভাববেন না! হাতের লেখার উপর নম্বর আদতে নির্ভর না করলেও পৃথিবীতে এমন একজন আছে যার হাতের লেখা এমএস ওয়ার্ডের চেয়েও বেশি সুন্দর। তার নাম প্রকৃতি মাল্লা। সে নেপালের অধিবাসী। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখার অধিকারী। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী প্রকৃতি মাল্লা তার এই হাতের লেখার জন্য সারা বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয় এই বালিকা তার সুন্দর হাতের লেখার জন্য একটি খেতাব’ও পেয়েছেন। এবং নেপালের সশস্ত্র বাহিনী থেকেও তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।‘

```

সৈনিক আওয়াসিয়া’ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী প্রকৃতির হাতের লেখা কয়েক মাস আগে নেপালের‌ই এক ভদ্রলোকের চোখে পড়ে এবং তিনি মুগ্ধ হয়ে সেই লেখাটির ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। আর তারপরেই কিছুদিনের মধ্যেই এই বালিকার লেখা সবার নজরে আসে এবং শুরু হয় তার হাতের লেখা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়। স্যোশাল মিডিয়ার দৌলতে কত আজেবাজে জিনিস‌ই তো ভাইরাল হয়! সেসবের মাঝে প্রকৃতির হাতের লেখা যেন পাঁকে পদ্ম।

তার হাতের লেখা দেখলে মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা, আবার কখনো কখনো তার হাতের লেখা এত বেশি সুন্দর হয় যা কম্পিউটারের এমএস ওয়ার্ড এর চেয়েও বেশি সুন্দর দেখায়। তার লেখা বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন, তার প্রত্যেকটি লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গা গুলো প্রত্যেকটি সমান।

```

তার লেখা নিখুঁত এর প্রায় কাছাকাছি। আর তাই তার এই লেখা শুধু নেপাল নয় সারা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা হয়ে রয়েছে। এই ছোট্ট অষ্টম শ্রেণীর হস্তলেখিকা শিল্পী ‘প্রকৃতি মাল্লা’ এখন সবার সুন্দর হাতের লেখা লেখার অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে।