বর্তমানে টাটা কোম্পানি রয়েছে সংবাদ শিরোনামে। সেমিকন্ডাক্টর, ব্যাটারি, বৈদ্যুতিক গাড়ির পর এবার তাদের লক্ষ্য ভোগ্যপণ্যের বাজার।এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, টাটা এই সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত বড় খেলোয়াড়দের সাথে ভোগ্যপণ্যের ব্র্যান্ড নিয়ে একটিবড় প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছে। তাদের এখন প্রধান লক্ষ্য মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ইউনিলিভার।
তবে টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেডও পিছিয়ে নেই এই যুদ্ধে, তারাও দেশের প্রতিযোগিতামূলক ভোগ্যপণ্য বাজার থেকে মোট পাঁচটি ব্র্যান্ড কেনার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। টাটা কনজিউমার প্রোডাক্টস এর সিইও সুনীল ডি’সুজা এক সাক্ষাৎকারে জানান যে, এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তারা শীঘ্রই বিরাট বপু নিয়ে প্রবেশ করতে চলেছেন, এবং এর ফলে কোম্পানির লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে অনেক বেশী। এছাড়া তিনি এও বলেন যে, অনেক কোম্পানির সাথেই তাদের সিরিয়াস আলোচনা চলছে।
তবে, তিনি সেই সম্ভাব্য কোম্পানিগুলির নাম নিতে অস্বীকার করেন। ইতিমধ্যে ভারতীয় বাজারে খুবই বিখ্যাত টাটা টি, এরপর কফি মার্কেটে প্রবেশ করেও নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে তারা।আসলে দেশবাসীর টাটা কোম্পানির প্রতি ভরসাকেই কাজে লাগিয়ে এবার বাজার দখল করছে তারা। গত ২০২০ সালে টাটা কোম্পানি নিজেদের ব্যাবসার ১৫৩ বছরে প্রবেশ করে, এবং তখনই তারা নিজেদের ভোগপন্যের বাজারে প্রবেশের ইচ্ছা জানায়। এরপর সব ঠিকঠাক চলতে শুরু করলেও করোনা ভাইরাস আসার ফলে ছন্দপতন হয়।
ইতিমধ্যে টাটা কোম্পানি বিভিন্ন রকম বোতলজাত পানীয় তৈরি করে বেভারেজ মার্কেটে প্রবেশ করেছে। টাটা কোম্পানি এখন বাকি সমস্ত সেক্টরের মতোই ভোগপন্যের বাজারকে চূড়ান্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ভোগপণ্যের এই বাজার ধরতে চাইলেও টাটা গ্রুপের জন্য এই প্রতিযোগিতা মোটেই সহজ হবে না।তাদের সামনে রয়েছে গ্লোবাল জায়ান্ট ব্র্যান্ড ইউনিলিভার এবং এছাড়াও মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। এরা দুজনেই মাঠের অভিজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়। ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে যে, মুকেশ আম্বানীরও পাখির চোখ এই ভোগপন্যের বাজার।
রিলায়েন্স আগামী ছয় মাসের মধ্যে ৬০ টি ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের কনজিউমার ব্র্যান্ড অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। দেশীয় বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও টাটা গ্রুপের এই ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা এমন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছে যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি ছুঁয়েছে সারা বিশ্বকে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।