কথাতেই আছে গরিব হওয়ার অনেক জ্বালা। অনেকে এটাও বলেন গরীব হয়ে জন্ম নেওয়া এটা অভিশাপ। তার কারণ সমাজের উচ্চ অভিজাত শ্রেণীর কাছে লাঞ্ছনা গঞ্জনা অপমান সবটুকু সহ্য করতে হয়। তবে এখন সময় অনেকটা পাল্টেছে, আজকাল ধনীদের টাকা পয়সা লোকাতে দেখা যায়। তবে যারা গরীব তারা দিন মজুরের কাজ করে নিজেদের সংসার চালাতে কেরালা, তামিলনাড়ু, ব্যাঙ্গালোর এর দিকে ছুটে যায় এই রাজ্যের গরীব মানুষেরা। কনস্ট্রাকশন সাইটে অসংখ্য ইট সিমেন্ট মাথায় নিয়ে তাদের ওপরে উঠতে অনেক কষ্ট হয়, তবে আর এরকমটা হবে না।
ইট সিমেন্ট নিয়ে কয়েক তলা বিল্ডিং এর অনেক ওপরে উঠতে খুব পরিশ্রম করতে হয় দিনমজুর দের কিন্তু পেট চালাতে, সংসারের মুখে দু মুঠো খবর তুলে দিতে তারা এই কাজ করে থাকে, তবে বিক্রম পাঞ্চাল তিনি যে মেশিন আবিষ্কার করলেন তাতে দিনমজুর দের এই কাজে অনেক সুবিধা হবে। এটিকে আমরা আধুনিক ডিজাইনিংয়ের একটি পদক্ষেপ হিসাবে বলি। বিক্রম দিনুভাই পাঞ্চালকে অভিনন্দন, কারণ তিনি শ্রমিকদের বর্তমান কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য তার দর্শনীয় নকশা নিয়ে এসেছেন।
বিশ্বব্যাপী কর্মীদের দ্বারা সম্মুখীন হওয়া বিভিন্ন পেশাগত বিপদ প্রতিরোধের লক্ষ্যে, এই লোড ক্যারিয়ারটি ৩টি পদ্ধতিকে উত্তোলনের পাশাপাশি অনেক ঝামেলা ছাড়াই মাল স্থানান্তর করতে সক্ষম করে।প্লাস্টিক, বেত এবং ধাতব উপাদান দিয়ে তৈরি, এই সরঞ্জামটিতে 2টি প্রধান অংশ রয়েছে, একটি বোঝা ধরে রাখার জন্য এবং অন্যটি কাঁধে বিশ্রামের জন্য।
প্রকৃতপক্ষে, কর্মী দুটি গিঁটের সাহায্যে এর নকশাটিকে অন্য আকারে পরিবর্তন করতে পারে। ওজন মাত্র 2 কেজি; লোড একটি নরম উপাদান দ্বারা কাঁধের উপর বিতরণ করা হয়. “লোড ক্যারিয়ার” ধারণাটি অবশ্যই একটি বহুমুখী যন্ত্র যা কর্মী মা বহন করছে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন উপায়ে লোড নিয়ে যাওয়া যায় অল্প পরিশ্রমে ।
সব মিলিয়ে সারা বিশ্ব জুড়ে তিনি এই কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিশ্বের অসংখ্য মানুষ তার এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। তাকে সেলুট জানায় গরীব মজদুর শ্রেণীর মানুষরা যাদের কথা ভেবে তিনি এই মেশিন তৈরি করেন।