প্রযুক্তির কল্যাণে সাড়ে তিন হাজার বছর পুরনো মিসরীয় ফারাও রাজা প্রথম আমেনহোতেপের মমি রহস্য উন্মোচিত হলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাচীন কাপড় ও নানা অলংকারে মোড়ানো মমিটিকে পুরোপুরি অক্ষুণ্ণ রেখে থ্রিডি কম্পিউটেড টোমোগ্রাফির (সিটি) মাধ্যমে এটির শারীরবৃত্তীয় রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজির অধ্যাপক সাহার সালিম এই রহস্য উন্মোচন করেছেন। সিটি স্ক্যানিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ফলাফল পাওয়া গেছে, তা অভূতপূর্ব এবং আকর্ষণীয় বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সালিম। তিনি জানান, গবেষণায় প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী আমেনহোতেপ মারা যাওয়ার সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৩৫ বছর। তিনি আনুমানিক ১৬৯ সেমি লম্বা ছিলেন, তার খতনা করানো ছিল এবং তার দাঁত ছিল খুবই সুন্দর।
তিনি আরও বলেন, শরীরে সবসময় তিনি ৩০টি তাবিজ, সোনার পুঁতিসহ একটি স্বর্ণের কোমরবন্ধ পরতেন। শারীরিকভাবে আমেনহোতেপকে তার বাবার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। তার সরু চিবুক, ছোট সরু নাক, কোঁকড়ানো চুল এবং দাঁত হালকাভাবে ওপরের দিকে ছিলো।
আমেনহোতেপ প্রথম ছিলেন ১৮তম রাজবংশের দ্বিতীয় রাজা। তার বাবার নাম আহমোস প্রথম। বাবার মৃত্যুর পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তিনি। প্রায় ২১ বছর মিসর শাসন করেছিলেন আমেনহোতেপ। তার নামের অর্থ ‘আমুন (দেবতা) সন্তুষ্ট’।
তবে এর মধ্যে অদ্ভুত একটি ব্যাপার হল মমি যারা তৈরি করত পরবর্তীকালে নিজেদের প্রাণ দিতে হতো সেই সমস্ত ব্যক্তিদের যারা মমি তৈরীর কাজে যুক্ত থাকত। এটি একটি ভীষণ রকম মর্মান্তিক অবস্থা বলে মনে করা হয় অন্তত আজকের যুগে, যেখানে কাজ শেষ হবার পরে তাদেরকেও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো ।