হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি যেতে কেন প্রেমিকার সঙ্গে ‘ব্রেক আপ?’ মুখ খুললেন ‘খিলাড়ি’ প্রেমিক

আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রেমিকার। আর এরপরেই ‘বেপাত্তা’ হয়ে গিয়েছেন প্রেমিক! এই ঘটনায় চাঞ্চল্য পড়েছে কোচবিহারের নিশিগঞ্জে। প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনাতে বসেছেন ওই প্রেমিকা। আজ ধরনার দ্বিতীয় দিন। তবে যে যুবকের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তিনি আবার অন্য কথা বলছেন।

এদিকে বাড়ির ত্রিসীমানায় ঘেঁষছেন না ওই যুবক। সত্যি কী প্রেমিকার প্রাথমিক স্কুলের চাকরি চলে যাওয়ায় সম্পর্ক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তিনি? এবার এই নিয়ে প্রথম এই সময় ডিজিটাল-এর কাছে মুখ খুললেন ওই যুবক।এই পুরো বিষয়ে এই সময় ডিজিটাল-এর তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই যুবক বলেন, “আমার সঙ্গে ওই তরুণীর কোনও সম্পর্ক ছিল না। ও কোনও প্রমাণ দেখাতে পারবে না যে আমার সঙ্গে ওর ফোনে বা মেসেজে কথা হত। এক ঘটকের মাধ্যমে আমাদের আলাপ হয়েছিল।

```

তিনি আরো বলেন,’ ঘটক ওই মেয়েটার নম্বর দিয়েছিলেন। এরপর মেয়ের বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে দেখাশোনার জন্য এসেছিল। আমার বাড়ি থেকে বা প্রতিবেশী কেউ কিন্তু মেয়েটাকে কোনওদিন দেখেনি। মেয়েটার চাকরি যাওয়া নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। ওর চাকরি দেখে আমি সম্পর্কে এগোনো বা বিয়ের সম্বন্ধের কথা ভাবিনি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাড়ি থেকে কেউ ওকে দেখতে যায়নি। এর আগে একবার ওর বাড়ির লোকেরা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। সেই দিন নিশিগঞ্জ বাজারে মেয়েটি আমার সঙ্গে দেখা করে। তারপর বাড়ি গিয়ে ও আমার বাড়ির সামনে ধরনা দিল। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না! আমার বাড়ি থেকে ওর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল বিয়ে নিয়ে কথাবার্তা বলতে। তার আগেই ধরনা দিল। আমি পেশায় একজন অতিথি অধ্যাপক। আমার বিষয়ে সকলের থেকে জেনে নিন। “

```

অন্যদিকে, তরুণী দাবি করেছেন, এই যুবকের সঙ্গে তাঁর ছয় মাস ধরে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন এই তরুণী। এরপরেই তাঁর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় যুবক। প্রেমিককে বিয়ের দাবি জানিয়ে তার বাড়ির সামনে ধরনায় বসে ওই তরুণী। অভিযোগ এরপর থেকেই বেপাত্তা সেই যুবক। তার প্রতিবেশীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।