সান্ত্বনা দিলেন প্রসেনজিৎ!’দিদি নম্বর ১’এ মঞ্চে কেন কান্নায় ভেঙে পড়লেন রচনা?জানলে অবাক হবেন

বাবাই ছিলেন বন্ধু। জীবনের প্রত্যেক ধাপে পাশে পেয়েছেন তাঁকে। সেই মানুষটিকে চিরকালের মতো হারিয়ে ফেলার শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে আবেগঘন অভিনেত্রী। ভেঙে পড়লেন কান্নায়।

মঙ্গলবার সম্প্রচারিত হয়েছে অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব। মেয়েদের সঙ্গে খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বাবারা। সেই পর্বেই ‘আয় খুকু আয়’ ছবির প্রচারে আসেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। রচনাকে তাঁর বাবা সম্পর্কে কিছু কথা বলার অনুরোধ করেন তিনি। কিন্তু এর পর যা ঘটে, তা দেখে বাকরুদ্ধ সকলেই। যিনি সকলকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগান, সেই ‘দিদি’ই ধরে রাখতে পারলেন না নিজেকে।

বাবাকে নিয়ে একটি শব্দও বলতে পারেননি রচনা। ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন কান্নায়। বহু দিনের বন্ধু-সহকর্মীর কাঁধে হাত রেখে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন প্রসেনজিৎ। চোখের জল মুছিয়ে দেন তাঁর। কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। নিজেকে সামলে নিয়েছেন সঞ্চালিকা। বলেন, ‘আমার বাবাই আমার সব ছিল।’

জীবনের সব অধ্যায়ে পাশে পেয়েছেন বাবাকে। স্মৃতির পাল্টা উল্টে রচনা জানান, দীর্ঘ দিন যখন তিনি হায়দরাবাদে কাজ করেছেন, অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা। মেয়ের দেখাশোনার জন্য চাকরি ছেড়ে তাঁর সঙ্গে ভিন রাজ্যে চলে যান। এ ভাবেই রচনার সব কিছুর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়েছিলেন তাঁর বাবা।

অভিনেত্রী বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কাটানোটা আশীর্বাদ। একটা সময় সবাইকেই এক হয়ে যেতে হবে। এটাই নিয়ম। সেই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে বলেই মনে হয় বাবার সঙ্গে আরও কয়েকটা দিন বেশি সময় কেন কাটালাম না।’গত নভেম্বর মাসে প্রয়াত হন রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ তিনি।